পোস্টগুলি

জুন, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুড়ির টিন বাস ও কিশোর প্রেম

মুড়ির টিন বাস ও কিশোর প্রেম স ম আজাদ রাজপথের পরে   যমুনা রেসোর্ট থেকে টাঙ্গাইলের পথে তুমি বসেছিলে কিশোর প্রেমিকে র পাশে মুড়ির টিন লোকাল বাসে।   চারপাশের হলুদ সরিষা ক্ষেত দ্রুত ধাবমান। সে তোমার পাশে তার মাথা তোমার কাঁধে ত োমার গাঢ় কালো চুল কোকড়ানো ও ঢেউ খেলানো। তুমি এই প্রথম এসেছিল ে তার সাথে কলেজ পালিয়ে প্রিয় বাবা-মার চোখ ফাঁকি দিয়ে। সেদিন তোমার ছিল জীববিজ্ঞানের ক্লাস কিন্তু কৈশরক প্রেমের তীব্র টানে তুমি জয় করেছিলে হিমালয় সম বাঁধা। এখনতো ফেরার সময় আবার কবে দেখা হবে জানো না তুমি জানে না তোমার কিশোর প্রেমিক তাইতো বাস ভর্তি গ্রামীণ যাত্রীর চোখ ভর্তি কৌতুহল থোড়াই কেয়ার করে সে এঁকে দেয় তোমার কপোলে সুদীর্ঘ গভীর চুম্বন। আর তুমি উদ্বেলিত হয়ে লুটিয়ে পড়ো তার কোলে।

সভাপতি সংবিক্ষণ

সভাপতি সংবিক্ষণ স ম আজাদ   ‘ স্যার, পবন ভাতা দিতে দিতে শেষ হইয়া গেলাম। ’ ‘সেইটা আবার কি জিনিষ?’ ‘বুঝলেন না স্যার, আমাগোর সভাপতি স্যারে কলেজের নামে জমি নিয়া   দরকারের থাইকা বেশী কইরা মানুষ নিয়োগ দিছিল। সরকারের কাছ থাইকা যখন ওর বেতন আইলো, তহন দেহা গেল চতুর্থ শ্রেণীর আমাগোরে চার জনের বেতন আইলো। আর পাঁচ জনের বেতন আইলো না। ঐ পাঁচ জনের চার জন নিরীহ। ওরা সভাপতিরে চাপ দেয় না। অনুনয় বিনয় করে জমি ফেরত পাইবার লাইগা। কিন্তুক, পবনের পাগলা পোলায় হুমকি দেয়, আমার বেতন আহে নাই ক্যা? হিসাব মতন তো আমার বেতন আহার কতা! সভাপতি স্যারে ওরে দেইখা ডরায়, অর ভাইয়ের অনেক জোর। তাই স্যার, আমাগোর চাইর জনের কাছ থাইকা টেহা নিয়া ওরে মাস মাস বেতন দেয়।’ কথাগুলো রহিমউদ্দিন অংক স্যারের কাছে বলে। রহিমউদ্দিন কলেজ শুরুর পর থেকেই আছে। ওর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিটা সে কলেজের নামে লিখে দিয়েছে। সে আট বছর টানা কাজ করছে কোন বেতন পায়নি। কিন্তু হাদিসে আছে শ্রমিকের ঘাম শুকাবার আগেই তার মজুরি দিতে হবে। কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা কি আগুনের তৈরী, তাদের ক্ষুধা লাগেনা? এমপিও ভুক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কলেজ থেকে কোন ব...