পোস্টগুলি

মে, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মৃত শ্রম ও জীবন্ত শ্রম

মৃত শ্রম ও জীবন্ত শ্রম স ম আজাদ ধান কাটা হয়ে গেছে রোদ্রোজ্জল মাঠে খড় শুকাতে দিয়েছেন কৃষক কারাইল দিয়ে তিনি খড় উল্টেপাল্টে দিচ্ছেন পরম মমতায় তার পেশল দেহ আন্দোলিত হচ্ছে কারাইলের খড়ের মাঝে আন্দোলনে ধ্বণিত হচ্ছে পিয়ানোর সুর বিটোভেনের মুনলিট নাইটের সোনাটা তিনি আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমের দেহের সৌন্দর্য অনাবিল কিন্তু হায় এই জীবন্ত শ্রমের ওপর আধিপত্য করে মৃত শ্রম তাঁর ইহজাগতিক জীবন অভাবেই কেটে যায় বাস্তব জীবনের ব্যবহার্য উপকরণ অধরাই থেকে যায় তার কাজ মেলে না বছরব্যাপী অন্যের জমি বর্গা চাষ করে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা মজুরদের দেবার পর তারও থাকে সামান্যই কবে হবে সেই রূপান্তর যেদিন মৃত শ্রমের ওপর আধিপত্য করবে জীবন্ত শ্রম আর বাস্তবায়িত হবে সেই গ্রান্ড ন্যারেটিভ ‘প্রত্যেকে দেবে সাধ্যমত, প্রত্যেকে পাবে তার দরকারমত’।।­­­

মজুর কৃষাণের বিষন্ন মুখ

মজুর কৃষাণের বিষন্ন মুখ স ম আজাদ আকাশে মেঘ মজুর বউয়ের বিষন্ন মুখ তার বর দূর দেশে গেছে নদীর ওপারে কাজে ধান কাটার ভরা মৌসুমে গেরস্থ মোবাইল করেছিল দল বেঁধে কাজের যাওয়ার জন্য কাজ শেষে ফিরছে দিনাজপুর গামী একতা এক্সপ্রেসে মজুরেরও বিষন্ন মুখ হিসাব মত রোজগার হয়নি এ মৌসুমে ট্রেনের এক কোণে বসে   ট্যাকে রাখা টাকাগুলো গোণে বারবার কপাল কুঞ্চিত হয় ঋণের কিস্তি বউয়ের কাপড় সন্তানের বায়না ছাপড়া ঘরে বরষা এলে পানি পড়ে ঘরটার মেরামতি দরকার কিছুতেই হিসাব মেলে না হিসাব মেলে না মজুর কৃষাণের।।

বহুমাত্রিক মা

বহুমাত্রিক মা স ম আজাদ জগৎ সংসার দান্দ্বিকময় এখানে পথ চলা কুসুম আস্তির্ণ নয় শুধু তোমার কারণে লক্ষ্যভেদী সর্পিল এই পথ চলা এখানে ওখানে হোচট খাই পতনের উপক্রম তখন দেখি তোমার হাস্য মুখ পথ দেখায়