মৃত শ্রম ও জীবন্ত শ্রম
মৃত শ্রম ও জীবন্ত শ্রম স ম আজাদ ধান কাটা হয়ে গেছে রোদ্রোজ্জল মাঠে খড় শুকাতে দিয়েছেন কৃষক কারাইল দিয়ে তিনি খড় উল্টেপাল্টে দিচ্ছেন পরম মমতায় তার পেশল দেহ আন্দোলিত হচ্ছে কারাইলের খড়ের মাঝে আন্দোলনে ধ্বণিত হচ্ছে পিয়ানোর সুর বিটোভেনের মুনলিট নাইটের সোনাটা তিনি আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমের দেহের সৌন্দর্য অনাবিল কিন্তু হায় এই জীবন্ত শ্রমের ওপর আধিপত্য করে মৃত শ্রম তাঁর ইহজাগতিক জীবন অভাবেই কেটে যায় বাস্তব জীবনের ব্যবহার্য উপকরণ অধরাই থেকে যায় তার কাজ মেলে না বছরব্যাপী অন্যের জমি বর্গা চাষ করে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা মজুরদের দেবার পর তারও থাকে সামান্যই কবে হবে সেই রূপান্তর যেদিন মৃত শ্রমের ওপর আধিপত্য করবে জীবন্ত শ্রম আর বাস্তবায়িত হবে সেই গ্রান্ড ন্যারেটিভ ‘প্রত্যেকে দেবে সাধ্যমত, প্রত্যেকে পাবে তার দরকারমত’।।