পোস্টগুলি

2016 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নন্দন-ঈশ্বরী

  নন্দন-ঈশ্বরী স ম আজাদ আমার চাই না স্বর্গের রূপসী শ্রেষ্ঠ অপ্সরা আমার চাই ইহলৌকিক রক্ত-মাংসের কবিতা-মানবী নন্দন-ঈশ্বরী।

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিবিন্দু

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিবিন্দু স ম আজাদ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কী আছে সেখানে আছে কী কোনো দার্শনিকতা কোনো বৈজ্ঞানিকতা এখানে কী পদার্থবিজ্ঞানের সকল তত্ত্ব ভেঙ্গে পড়ে এখানে কী শেষ হয়ে যায় সকল মায়া-মমতা এটা কী ব্ল্যাক হোলের পয়েন্ট অব নো রিটার্নের কুহেলিকা এখানে কী শেষ হয়ে যায় ক্যান্টীয় নন্দন তত্ত্ব এখানে কী ভেঙ্গে পড়ে ঈশ্বরতান্ত্রিক মিথ?

পুঁজিতন্ত্র সংবীক্ষণ

ছবি
পুঁজিতন্ত্র সংবীক্ষণ স ম আজাদ হায় পুঁজিতন্ত্র তুমি মানব সংহারে চ্যাম্পিয়ন তুমি সাম্রাজ্যবাদী সমরবাদীর দ্রোণ আক্রমণ নিযুত নিযুত নিরপরাধ লাশের কান্না-কলরোল । তোমার মুনাফা লোভের থাবায় সারা দুনিয়া আজ ক্ষত-বিক্ষত রক্ত ঝরছে ফিলিস্তিন, ইরাকে, আফগানিস্তানে, কাশ্মিরে তুমি ধণীর বউয়ের চৌদ্দ হাত শাড়ী তিনি তোমাকে যেমন খুশী তেমনি পরিধান করেন কখনো মোহনীয় লাস্যময়ী বেআব্রুরূপে কখনো উচ্চমার্গের দ্রৌপদীয় কলায় তুমি ইয়াংকিস্তানে সৌদি প্রিন্সের বেহায়াপনা । আর গরীবের বউয়ের খাঁটো দশ হাত শাড়ী তুমি তার পরিধেয়রূপে বড্ড অপ্রতুল তুমি একপাশ আবৃত করলে অপর পাশ বেআব্রু হয়ে পড়ে কোনোভাবেই তার অভাব মেটেনা। তুমি বঙ্গদেশের ধানকাটা মজুরের হাহাকার তুমি প্রোলেতারিয়েত শিক্ষকের দশক দশক ব্যাপী অভিশাপ তুমি প্রকৃতি বিনাশী তোমার রামপালের থাবায় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন হায় আর কতকাল অপেক্ষা জেগে উঠবে কি তোমার  কবর খনকেরা!                          ...

কনিষ্ঠ কন্যা

কনিষ্ঠ কন্যা স ম আজাদ আমি এখন নির্জনতার অধীশ্বর এই নির্জনতায় একমাত্র সঙ্গী ফেসবুকে বন্দী কনিষ্ঠা কন্যার প্রতিচ্ছবিগুলো যে কন্যা ধীরে ধীরে সবার অলক্ষ্যে ফিস ফিস করে আব্বু তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না বিদায়বেলায় কোনো বায়না নেই একটা কিছুর জন্য শুধু আব্বুর সঙ্গটুকু ছাড়া যে কন্যার মাঝে আমি নিজেকে অন্বেষণ করি যে কন্যার জীবনকালে প্রত্যাশা করি সাড়া দেশে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে নারী শিক্ষার্থীরা সাইকেলে ছুটবে শিক্ষায়তনে নারী পরিধান করবে যে কোনো পছন্দসই পোষাক নির্ভয়ে বাঁধাহীনভাবে বিনা মন্তব্যে চলাচল করবে যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময়ে থাকবে না কোনো মজুরী-বৈষম্য নারী-পুরুষে ফ্রান্সিস ফুকায়ামার ইতিহাসের অবসানের আওয়াজ ক্ষীণ হবে শোষণহীন বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আওয়াজ জোরদার হবে।

ট্যাম্পাকো ট্র্যাজেডি

ট্যাম্পাকো ট্র্যাজেডি স ম আজাদ ব য়লার বিস্ফোরণে এতগুলো প্রাণ কয়লা হয়ে গেল কিন্তু এতো পরিসংখ্যাণের নিছক ডাটা এর থেকে একটা কোরবানীর গরু ঢের ঢের মূল্যবান ! এর থেকে ট্র্যাম্পাকোর মালিকের জীবনতো মহামূল্যবান এমনি করে মালিকের মুনাফার পাহাড় গড়তে গড়তে যুগে যুগে খরচা হবে অনেক অনেক শ্রমিকের জীবনপ্রাণ পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকবে হাজার - কোটি টাকার খেলাপী ঋণ পুঁজিতান্ত্রিক উন্নয়নের ডামাডোলে আত্মীকৃত হয়ে যাবে আর সব আওয়াজ শোনা যেতে থাকবে ইতিহাসের অবসানের অলঙ্ঘনীয় বাণী !

কৃষ্ণকলি উপাখ্যান একুশ শতকে

কৃষ্ণকলি উপাখ্যান একুশ শতকে স ম আজাদ বিশ শতকের কৃষ্ণকলি রবীন্দ্রনাথের ভীরু, লাজুক, ত্রস্ত পায়ে হেঁটে যায়। একুশ শতকের কৃষ্ণকলি ভাইব্র্যান্ট, স্মার্ট, দৃঢ় পদক্ষেপে হেটে যায় কার ড্রাইভ করে অফিসে যায়, সংসার করে ভাষা শহীদের মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নিপীড়িত মানবতার অধিকারের দাবীতে ফেস্টুন হাতে মিছিলে হেটে চলে কমরেডদের সাথে রাতে ফেসবুকে চ্যাট করে বন্ধুদের সাথে কবি অনুভব করে তার ক্যাটালাইটিক ক্যারিজমা সকল বুদ্ধিবৃত্তিক গুণের আধার পারমাণবিক জগৎ থেকে মহাবৈশ্বিক জগতের সকল সৌন্দর্য ভর করেছে তার উপর ইমানুয়েল কান্টের নন্দন তত্ত্বের মূর্ত প্রতীক স্পেস-টাইমের ধারণা স্হির হয়ে যায় কবির কাছে মার্কস দূরে সরে যায়. ফ্রয়েড এসে ভর করে কাল্পনিক পরা-বাস্তবতার ভ্রান্তিতে নিপতিত হয় গুণ-মুগ্ধ কবি।

আমার কৃষ্ণকলি

ছবি
আমার কৃষ্ণকলি স ম আজাদ এ বিশ্বের যা কিছু মায়াময় স্বপনীল   তা তোমার জন্য।   এই পৃথিবী , মহাবিশ্ব সুন্দর   তা তোমার চোখ দিয়ে দেখি বলে। সবুজ কচু পাতায় উপচে পড়া এক বিন্দু মুক্তোর মতন শিশির কণায় ঝরে পড়ে সকাল বেলার রোদ্দুর বিচ্ছুরিত হয় মাল্টিক্রোমেটিক স্পেকট্রাম সেখানে মগ্ন হই আমি দেখি তোমার মহাবৈশ্বিক সৌন্দর্য। আদি পৃথিবীতে প্রথম মানবিক পদচিহ্ন একে যে দিয়েছিল সে হলো প্রথম মানবী সে হলো তুমি আমার কৃষ্ণকলি আমার কবিতা মানবী।