পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি
  -জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮০-এর দশকে ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী কবি সুনীল সাইফুল্লাহ ঘুমের বড়ি খেয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। ওনার স্মরণে জাকসু আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জিল্লুর রহমান স্যার, তখনকার উপাচার্য। উনার কবিতার বিশ্লেষণ করে বক্তারা দেখালেন যে মৃত্যুর পূর্বে আত্মহত্যা বিষয়ক কবিতাই বেশী লিখেছিলেন। শেষ কবিতাতে লিখেছিলেন যে আত্মহত্যা তিনি করবেন চরম আনন্দের মুহুর্তে, দুঃখের মুহুর্তে নয়। আর একটি কবিতাতে দেখা যায় দ্বিধাদ্বন্দ্ব: আত্মহত্যারর আগে শেষকথা কী লিখে যাবো এই প্রশ্ন করে শেষ রাত শেষ আকাশ মাধুরী; শেষকথা কী বলে যাবো সেই কর্কশ বিদ্যুৎ সবর্শরীর ঢেকে আছে, মেঘাচ্ছন্ন দিন- কাঁদে বাসভূমি, ছিন্ন চালাঘ আত্মহত্যার আগে কী তাঁকে প্ররোচিত করেছিল এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে। তবে কি ‍ পৃথিবীর বৈষ্যমিক ব্যবস্থায় তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।

বাইসকেল ও আমি: স ম আজাদ

ছবি
  একটা কথা মনে পড়লো। আমি সবসময় বাইসাইকেল ব্যবহার করি। তো ৯০-এর দশকের কোন এক সময় বিকেলে বাইসাইকেলে টাঙ্গাইলের নিরালার মোড়ে গিয়েছি। নাম প্রকাশ করলাম না তার, তিনিও কলেজে অধ্যাপনা করেন। আমাকে বাইসাইকেল চালাতে নিষেধ করলেন. কলেজ শিক্ষক হিসেবে এটা নাকি অপমানজনক। রিক্সায় চড়তে না পারলে হাটবে, তবু সাইকেল চালাবে না। আমি বললাম তুমিতো কিছু পথ রিক্সায় যাও, কিছু পথ হাঁটো। আমি সাইকেল চালাই মানে আমি গতিতে আছি। টাঙ্গাইল শহরে ২০ মিনিটের মধ্যে যেকোনো জায়গায় দিয়ে কাজ সারতে পারি। আমার স্ত্রী বলেন তুমি সাইকেল চালাও আর আমাকে সবাই বলে ওনি এখনও সাইকেল চালায় কেন। ওনারতো কোনো উন্নতি হ;ল না। সাইকেল হারিয়েছি চারবার। এর মধ্যে একবার সাইকেল হারানোর পর আর একটা সাইকলে কিনেছি। তো বাড়ি যাওয়ার সময় আমার এক ভাইয়ের সাথে দেখা, তিনি বললেন আবারও সাইকেল কিনেছো। আমি বললাম হ্যাঁ, এটা হারালো আবারও সাইকেলই কিনবো, তিনি মোটর সাইকেল চালান। আর একবার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমায় বলেছিলেন যে আপনি আমার বাসায় সাইকেল চালিয়ে আসবেন না,দরকার হলে রিক্সায় না পারেন হেটে আসবেন আমার বাসায়। দুঃখের কথা আমি এখন বাইসাইকেল ছাড়া, প্রায়...