পোস্টগুলি

রেভুল্যুশনারি নিও-লেফ্ট স ম আজাদ

পুঁজিতন্ত্র ভদ্র মধ্যবিত্তকে টানাপোড়েনে রাখে প্রতিনিয়ত ভয় তার এই বুঝি দরিদ্র-বিত্তে রেলিগেশন ঘটে ফুটবলেও কখনো কখনোর বনেদি প্রথম শ্রেণীর ক্লাবের রেলিগেশন হয় বাম-কমিউনিস্টদের কোনো কোনোর গ্রুপের রেলিগেশেন হয় বিপ্লবী থেকে শোধনবাদে তখন রেভুল্যুশনারি নিও-লেফ্ট কমিউনিস্টদের উত্থান জরুরত
  বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে STEM খুবই অপরিহার্য। এ্খানে S- Science, T- Technology, E- Engineering, M - Methematics । যে দেশগুলো অগ্রগতি লাভ করেছে এই STEM-কে গুরুত্ব দিয়েই। এর কোন বিকল্প নেই। আমি চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন কলেজে শিক্ষকতা করেছি। সে সুবাদে তৃণমূলে যে অসুবিধাগুলো সে সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা গড়ে উঠেছে। বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতা, যাও আছে তারও সদ্ব্যবহারের অনীহা। ব্যবহারিক ক্লাসে অনেক সময় অনীহা। মূলত অধ্যক্ষদের (ব্যতিক্রম যারা তাদের বাদ দিয়ে) অনীহার কারণে এটা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষায় শুধু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে নম্বর দেয়া। যেমন পরীক্ষণ না করেই শুধুমাত্র পরীক্ষায় বর্ণনার ভিত্তিতে নম্বর দেয়া। আর সার্বিকভাবে সকল বেসরকারী স্কুল-কলেজের জন্য নটরিয়াস এমপিও প্রথায় অন্তর্ভুক্তির দীর্ঘসূত্রিতা। একজন শিক্ষক যেদিন যোগদান করবেন সেদিন থেকেই তিনি বেতন প্রাপ্তির অধিকারী। কিন্ত কোনো কোনো শিক্ষকের জীবন পার হয়ে যায় তিনি এমপিওতে অন্তর্ভুক্তি হতে পারেন না। অন্য সকল চাকুরিতে নিয়োগ পেয়ে যোগদানের দিন থেকেই তিনি বেতন পান। কিন্তু বেসরকারী নতুন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের বেলায় এটা হয় না। একজন কৃষক...

বিক্ষত স্মৃতি: ১ স ম আজাদ

ছবি
  সেলিনা অনেকদিন পরে মাইজবাড়িতে যাওয়ায় নস্টালজিক হয়ে পড়ে। নিজের গ্রাম্। শৈশবে বেড়ে উঠা। প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রামেই। অনেক স্মৃতি ওর। কাজেই শ্রেণী ভেদ না করে অনেক বাড়িতেই গেছে, যা ওদের পরিবারের শ্রেণীর সাথে যায় না। পাথালিয়া বাজারে গিয়েছে। ওখানে ওর অনেক পরিচিত জনের সাথে দেখা, ওনারা আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করেছেন। তো একদিন বললো চলো হযরত ভাইয়ের বাড়িতে। সকাল ১০টার দিকে ওনাদের বাড়ি গেলাম, ওনারা খুশী হলেন। আপ্যায়নও করলেন। কিন্তু ফেরার সময় আকস্মিক ফোন আমার বড় সম্বন্ধীর, তিনি পদবীতে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল। তিনি বললেন তোরা তো মান-সম্মান রাখলি না, হযরতের বাড়ি গেছস, আবার খাওয়া-দাওয়াও করছস। ও আমাদের বাড়িতে কাজ করেছে। এই ধরনের এলিটদের কী বলা যায়। যারা মানুষের Freedom of movement-এ বাঁধা দেন। আসলে উনি হলেন ছাপড়ি-এলিট্। ধিক এই এলিটিসিজমকে। এই দুনিয়াতে কেনা জানে সম্পদ তৈরীি হয় মেহনতীদের শ্রমে, তাঁরাই হিরো। ধণিক শ্রেণী পরগাছা।
  পোস্ট মডার্ন রূপান্তর স ম আজাদ   চারপাশের আলো গলিয়ে অন্ধকার দাঁত বের করে হাসে সর্বজনের রাস্তায় সার সার প্রাইভেট গাড়ি নানা ব্র্যান্ডের বৈচিত্রে ভরপুর : বিএমডাব্লুও , ভলভো , নিশান আরো কতকি ! সমাজের পোস্ট মডার্নে রূগান্তর : ভোগেই সমৃদ্ধি তরুণ - তরুণী , নব দম্পতি , বাম - ডান নেতা সবাই ছুটে চলে ভোগের নেশায় , পণ্য পুঁজায় রাস্তায় ভিআইপি ট্রাফিক বহর থমকে যায় সর্বজনের যান - গতি সর্বজনের ইউনিভার্সিটি হলে গণ - রুমে টর্চার সেলে তারুণ্যের ঘোরতর অধপতন হায় একি দেখি ক্লাবে ক্লাবে ক্রীড়া নেই আছে ক্যাসিনো গণতন্ত্রে গণ নেই আছে তাহলে কি ! শোষণ আর শাসন

ভাইয়া আমার স ম আজাদ

  ভাইয়া আমার স ম আজাদ উৎসর্গ: বৈষম্য বিরোধী শহীদদের প্রতি “ভাইয়া আমার ছোট্টবেলার একটা রাজকুমার ছিল।” রাজপরিবারে জন্ম নয় সচ্ছল-বিত্ত পরিবারে জন্ম গাঁও-গেরামের স্কুলে পড়তেন কোনো ঠাটবাট ছিল না তারপরেও তিনি ছিলেন রাজকুমার সামন্ত রাজকুমার নয় একান্তই আমার রাজকুমার রূপকথার রাজকুমার মজলুম-থেটে খাওয়া মানুষের বন্ধু ছিলেন সখ্যতা তাদেরই সাথে মনে হতো প্রোলেতারিয়েতের প্রিন্স একটু বড় হলে বুঝলাম মজলুমের বন্ধু থাকে মজলুমের নেতাও থাকে রাজকুমার থাকে না যাক রাজকুমার ভাগ হলো না,  আমারই রয়ে গেল। চারদিকে তরুণ-তরুণীদের উত্তাল তরঙ্গ-ধ্বণি “আমরা সবাই রাজাকার কে বলে কে বলে স্বৈরাচার স্বৈরাচার” মিছিলে সামিল ছোটকন্যা দুই গালে বাংলাদেশের পতাকা আমার রাজকুমার ভাইয়া তরঙ্গ-উচ্ছাস শুনতে পেলেন মধ্য ষাটে তারপর মিশে গেলেন মহাসমুদ্রের তরঙ্গমালায়।

রসায়নের প্রকৃতি এরিক শেরি

  রসায়নের প্রকৃতি এরিক শেরি অনুবাদ: স ম আজাদ খোদ রসায়নের প্রকৃতিটাই আমাদের নিকট উপস্থাপন করে একটি টেনশন। একদিকে পদার্থসমূহের বৈচিত্রময়তা ও রূপ, আর একদিকে মৌলিক ঐক্যের ( fundamental unity ) নিরাপত্তা- এই দুইয়ের মধ্যকার টেনশন। এমনকি রসায়নের সাম্প্রতিক ইতিহাসও কেবলমাত্র এই টেনশন নিয়েই। ঊনিশ শতকে প্রাউটের হাইপোথেসিস নিয়ে বিতর্ক, তাহলো এই যে প্রাথমিক বস্তু ( primary matter ) আছে কিনা। অধিকতর সাম্প্রতিক অনুমান হলো কম্পিউটার আমাদের সামর্থ যোগায় কিনা যাতে আমরা ভার্চুয়ালি পরিক্ষণ রসায়ন ( experimental chemistry ) ছাড়া চলতে পারি। বহুত্ববাদ ও ঐক্য (plurality and unity)- এই দুটি বিষয়ের মধ্যকার টেনশন এমন একটি বিষয় যার সাথে রসায়নবিদ হতে চাওয়া মানুষজন বসবাসে সক্ষম।যাদের ঐ বিষয়ের জন্য ঝোঁক থাকে না, তারা পদার্থবিজ্ঞান বা এরকম একটা কিছুর দিকে আকৃষ্ট হন। কিন্তু বিজ্ঞানের প্রকৃতি অনুধাবন করতে যারা চেষ্টা করেন, সেই দর্শকদের নিকট রসায়ন উপস্থাপন করে একটি অপরিহার্য দার্শনিক প্যারাডক্স, সেটি হলো কীভাবে “অনেক এবং এক” (many and one) সহ-অবস্থান করে (co-exist)। ফরাসি দার্শনিক-রসায়নবিদ Gaston Bachelard এই অবস...