বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে STEM খুবই অপরিহার্য। এ্খানে S- Science, T- Technology, E- Engineering, M - Methematics । যে দেশগুলো অগ্রগতি লাভ করেছে এই STEM-কে গুরুত্ব দিয়েই। এর কোন বিকল্প নেই। আমি চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন কলেজে শিক্ষকতা করেছি। সে সুবাদে তৃণমূলে যে অসুবিধাগুলো সে সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা গড়ে উঠেছে। বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতা, যাও আছে তারও সদ্ব্যবহারের অনীহা। ব্যবহারিক ক্লাসে অনেক সময় অনীহা। মূলত অধ্যক্ষদের (ব্যতিক্রম যারা তাদের বাদ দিয়ে) অনীহার কারণে এটা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষায় শুধু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে নম্বর দেয়া। যেমন পরীক্ষণ না করেই শুধুমাত্র পরীক্ষায় বর্ণনার ভিত্তিতে নম্বর দেয়া। আর সার্বিকভাবে সকল বেসরকারী স্কুল-কলেজের জন্য নটরিয়াস এমপিও প্রথায় অন্তর্ভুক্তির দীর্ঘসূত্রিতা। একজন শিক্ষক যেদিন যোগদান করবেন সেদিন থেকেই তিনি বেতন প্রাপ্তির অধিকারী। কিন্ত কোনো কোনো শিক্ষকের জীবন পার হয়ে যায় তিনি এমপিওতে অন্তর্ভুক্তি হতে পারেন না। অন্য সকল চাকুরিতে নিয়োগ পেয়ে যোগদানের দিন থেকেই তিনি বেতন পান। কিন্তু বেসরকারী নতুন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের বেলায় এটা হয় না। একজন কৃষক যখন কোন দিন মজুুরকে নিয়োগ দেন তখন ঐ চাষী অন্তত হাটবারের দিন তার সমস্ত মজুরী পরিশোধ করেন যাতে তার নিয়োগকৃত মজুর বাজার সদাই করতে পারে। দেশকে বৈষম্য মুক্ত করতে হলে আমাদের গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে শিক্ষা নিন। তাদের অক্ষরজ্ঞান অনেক সময় না থাকতে পারে, কিন্তু তারা জ্ঞানী। কৃষি কাজের মতন মহুমাত্রিক জটিল বিজ্ঞান তাদের আয়ত্বে। তারাই সফল বঞ্চনা সত্তেও।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ক্রিস্টাল ফিল্ড তত্ত্ব স ম আজাদ

পরকীকরণ: মার্কসের তত্ত্বের ভূমিকা

রসায়নের প্রকৃতি এরিক শেরি