পোস্টগুলি

মে, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
সোলোমন দ্বীপপুঞ্জের একটি কবিতা। সুসভ্য বালিকা কবি জুলি ম্যাকিনি অনুবাদ: স ম আজাদ সস্তা পারফিউম ছয় ইঞ্চি হিল স্কিন-টাইট প্যান্ট সুসভ্য বালিকা ইস্পাত-পশম চুল ঝাপসা এবং নমনীয় এখন নারকেলের খোসার মত নরম এক ডজন ক্লিপ দিয়ে আটকানো চারকোল-ব্ল্যাক স্কিন লালে রাঙানো পুরু ভ্রু প্লাক করা এবং পেন্সিল দিয়ে আঁকানো আমি কে? মেলানেসিয় ককেশিয় অথবা বর্ণ সঙ্কর আপনার মন-স্থির করুন আমি কোথায় যাচ্ছি সামনে, পেছনে, না স্থাণুবৎ আমি নিজেকে কী বলবো? মিসেস মিস অথবা মিজ কেনো আমি এই অনুকৃতি করবো? এতে কোনো ভ্রান্তি আছে কী? সভ্যতা A poem from Solomon Islands by Jully Makini Civilized Girl Cheap perfume Six-inch heels Skin-tight pants Civilized girl Steel-wool hair Fuzzy and stiff Now soft as coconut husk Held by a dozen clips Charcoal-black skin Painted red Bushy eyebrows Plucked and penciled Who am I? Melanesian Caucasian or Half-caste? Make up your mind Where am I going- Forward, backward, still? What do I call myself- Mrs Miss or Ms? Why do ...

বেরিলিয়াম বিকিরণ

বেরিলিয়াম বিকিরণ ১৯৩০এ জার্মান পদার্থবিদ বোথে ও বেকার হালকা ধাতু বেরিলিয়ামকে আলফা কণিকাসমূহ দিয়ে আঘাত করে দেখতে পান যে খুবই ভেদনযোগ্য বিকিরণ বিচ্ছুরিত হয়। এই বিকিরণ আয়নিত হয় না, এবং তারা এটিকে গামা রশ্মি বলে অনুমান করেন। ১৯৩২এ আইরিন ও ফ্রেডেরিক জুলিও কুরী ফ্রান্সে এই বিকিরণ নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁরা প্যারাফিন ওয়াক্সের ব্লককে এই রেডিয়েশন দিয়ে আঘাত করেন। তাঁরা দেখতে পান যে ওয়াক্স থেকে প্রোটন নির্গত হয়। তাঁরা এই প্রোটনসমূহের গতি পরিমাপ করেন এবং দেখতে পান যে ওয়াক্স থেকে প্রোটনসমূহ নির্গত হতে হলে গামা রশ্মিসমূহকে অবিশ্বাস্য শক্তিতে ওয়াক্সকে আঘাত করতে হয়। চ্যাডউইক জুলিও-কুরির পরীক্ষাটি রাদারফোর্ডের নিকট রিপোর্ট করেন। রাদারফোর্ড বিশ্বাস করেননি যে গামা রশ্মির আঘাতেই ওয়াক্স থেকে প্রোটন নির্গত হয়েছে। তিনি ও চ্যাড‌উইক মনে করেন যে বেরিলিয়াম থেকে নিউট্রন নির্গত হচ্ছিল। নিউট্রনসমূহের ভর প্রোটনসমূহের ভরের কাছাকাছি। কাজেই নিউট্রনসমূহ ওয়াক্স বক্সকে আঘাত করে খুব সহজে প্রোটনসমূহ নির্গত করে।

জেমস চ্যাডউইক ও নিউট্রন

ছবি
      জেমস চ্যাডউইক ও নিউট্রন  স ম আজাদ ১৯২০এ রাদারফোর্ড তাঁর ‘নিরপেক্ষ ডাবলেট’, বা নিউট্রন বর্ণনা করেন। এই কণিকাগুলো চার্জবিহীন। কিন্তু এদের ভর প্রোটনের ভরের থেকে সামান্য বেশী। নিউট্রন চার্জবিহীন, তাই এর কোনো বৈদ্যুতিক বিকর্ষণ নেই। বস্তুর ভেতর দিয়ে প্রোটনের থেকে বেশী ভেদনযোগ্য বলে এটি সনাক্ত করা দুঃসাধ্য। দশকের অধিক গবেষণা করে চ্যাডউইক নিউট্রন আবিষ্কার করেন। ম্যানচেষ্টার থেকে ক্যামব্রীজ যাওয়ার সময় চ্যাডউইক রাদারফোর্ডের অনুগামী হন। পরে তিনি ক্যাভেন্ডিশে এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অব রিসার্চ হন। পদার্থবিজ্ঞানের যেকোনো নয়া বিকাশ সম্পর্কে রাদারফোর্ডকে অবহিত করা ছিল তাঁর কাজ। চ্যাডউইক ও রাদারফোর্ড প্রায়ই নিউট্রন নিয়ে আলোচনা করতেন, এবং তা আবিষ্কারের জন্য ‘হাস্যকর’ পরীক্ষণের সুপারিশ করতেন তাঁরা। কিন্তু চ্যাডউইকের আবিষ্কারের প্রেরণা রাদারফোর্ডের পরিবর্তে ইউরোপ থেকে এসেছিল। বিশেষ করে একটি গবেষণার প্রতি তাঁর মনোযোগ আকৃষ্ট হয়: ফ্রান্সের পিয়েরে কুরি-ম্যারি কুরি দম্পতির কন্যা আইরিন জুলিও কুরি এবং তাঁর স্বামী ফেড্রেরিক জুলিও কুরি- এরা দু’জনে যৌথভাবে বেরিলিয়াম থেকে পাও...

নিউট্রন

১.নিউক্লিয়াসের ভেতর কী আছে? ১৯১০ নাগাদ ভাবা হতো পরমাণুতে একটা ভারী কেন্দ্র আছে, এর চারদিকে ইলেকট্রন আবর্তন করছে। কিন্তু পারমাণবিক ভর পরিমাপে দেখা যায় যে সকল নিউক্লিয়াসে অবশ্যি অন্য কিছু কণিকা আছে পূর্ণ সংখ্যায়। নিউক্লিয়াসের ভেতর এই কণিকাগুলো কী? এই কণিকাগুলোর একটি প্রোটন। ধণাত্মক রশ্মি নিয়ে গবেষণার সময় প্রোটন আবিষ্কৃত হয়। হাইড্রোজেনকে আয়নিত করে প্রোটন তৈরী করা যায়। হাইড্রোজেন পরমাণু সবচেয়ে হালকা, এতে একটা প্রোটন এবং একটা ইলেকট্রন আছে। আয়নিত করে পরমাণু থেকে ইলেকট্রন আলাদা করে প্রোটন পাওয়া যায়। ভারী পরমাণুতে যদি কেবলমাত্র প্রোটন থাকতো তবে তাদের চার্জ পরিমাপকৃত চার্জের থেকে বেশী হতো। আর চার্জের সংখ্যাতো ইলেকট্রনের সংখ্যার থেকে বেশী হতে পারে না, কারণ পরমাণু চার্জ নিরপেক্ষ। রাদারফোর্ড ভাবলেন নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও ‘নিউট্রাল ডাবলেট’ আছে। ‘নিউট্রাল ডাবলেট’ গঠিত হয় দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ প্রোটন ও ইলেকট্রন দিয়ে। বিভিন্ন নিউক্লিয়াসের জন্য পরিমাপকৃত ভর ও চার্জের ব্যাখ্যা এর সাহায্যে করা যেতে পারে।