আনারস সমাচার।

পরশু দিন এক ফলের দোকান থেকে আনারস কেনার সময় ফল-বিক্রেতাকে বলেছিলাম সবচেয়ে ভালটি দেবেন। উনি দিলেন। আমি বললাম যদি ভালো না হয় ফেরত নেবেন, উনি বললেন আচছা। বাসায় এসে কাটার পর দেখা গেল সেটি একদম খাওয়ার অযোগ্য। গতকাল আবার ওনার দোকানে পচা আনারসের খন্ডাংশ নিয়ে দেখালাম। উনি আবার একটা আনারস দিয়ে বললেন এটাতে সমস্যা হবে না। একটু আগে কেটে দেখা গেল সেই একই অবস্থা। আজ আর দুঃখে তার কাছে যেতে ইচ্ছে করছে না। আসলে ওনাকে দোষ দেই না। সমাজে এখন আধিপত্যিক চিন্তধারা হলো যেনতেন প্রকারেন মুনাফা তৈরী করা। এই আধিপত্যশীল চিন্তা তার ওপর ভর করেছে। উনি নিরীহ ছোট্ট ফল বিক্রেতা। নব্বই দশকের শেষদিকের কথা মনে পড়ছে। আমার স্ত্রী একটা জমি কেনার জন্য একজনের সাথে সবকিছু ঠিকঠাক করেছেন। উনারা খুব উচ্চ বর্গের লোক। সরল বিশ্বাসে জমি কেনা হলো। পরে ক বছর পরে দেখা গেল জমির পরিমাণ কম। তো আমাদের সাথের একজন দেরী করে খারিজ করতে গিয়ে দেখেন তার অংশ নেই, সেটি পূর্বেই খারিজ হয়ে গেছে। অর্থাৎ উনি সেই অংশ আগে বিক্রি করে দিয়েছেন। অর্থাৎ সমাজে এরকম প্রতারণা চলছে।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ক্রিস্টাল ফিল্ড তত্ত্ব স ম আজাদ

পরকীকরণ: মার্কসের তত্ত্বের ভূমিকা

রসায়নের প্রকৃতি এরিক শেরি