-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮০-এর দশকে ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী কবি সুনীল সাইফুল্লাহ ঘুমের বড়ি খেয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। ওনার স্মরণে জাকসু আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জিল্লুর রহমান স্যার, তখনকার উপাচার্য। উনার কবিতার বিশ্লেষণ করে বক্তারা দেখালেন যে মৃত্যুর পূর্বে আত্মহত্যা বিষয়ক কবিতাই বেশী লিখেছিলেন। শেষ কবিতাতে লিখেছিলেন যে আত্মহত্যা তিনি করবেন চরম আনন্দের মুহুর্তে, দুঃখের মুহুর্তে নয়। আর একটি কবিতাতে দেখা যায় দ্বিধাদ্বন্দ্ব: আত্মহত্যারর আগে শেষকথা কী লিখে যাবো এই প্রশ্ন করে শেষ রাত শেষ আকাশ মাধুরী; শেষকথা কী বলে যাবো সেই কর্কশ বিদ্যুৎ সবর্শরীর ঢেকে আছে, মেঘাচ্ছন্ন দিন- কাঁদে বাসভূমি, ছিন্ন চালাঘ আত্মহত্যার আগে কী তাঁকে প্ররোচিত করেছিল এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে। তবে কি পৃথিবীর বৈষ্যমিক ব্যবস্থায় তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।
পোস্টগুলি
2021 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
বাইসকেল ও আমি: স ম আজাদ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
একটা কথা মনে পড়লো। আমি সবসময় বাইসাইকেল ব্যবহার করি। তো ৯০-এর দশকের কোন এক সময় বিকেলে বাইসাইকেলে টাঙ্গাইলের নিরালার মোড়ে গিয়েছি। নাম প্রকাশ করলাম না তার, তিনিও কলেজে অধ্যাপনা করেন। আমাকে বাইসাইকেল চালাতে নিষেধ করলেন. কলেজ শিক্ষক হিসেবে এটা নাকি অপমানজনক। রিক্সায় চড়তে না পারলে হাটবে, তবু সাইকেল চালাবে না। আমি বললাম তুমিতো কিছু পথ রিক্সায় যাও, কিছু পথ হাঁটো। আমি সাইকেল চালাই মানে আমি গতিতে আছি। টাঙ্গাইল শহরে ২০ মিনিটের মধ্যে যেকোনো জায়গায় দিয়ে কাজ সারতে পারি। আমার স্ত্রী বলেন তুমি সাইকেল চালাও আর আমাকে সবাই বলে ওনি এখনও সাইকেল চালায় কেন। ওনারতো কোনো উন্নতি হ;ল না। সাইকেল হারিয়েছি চারবার। এর মধ্যে একবার সাইকেল হারানোর পর আর একটা সাইকলে কিনেছি। তো বাড়ি যাওয়ার সময় আমার এক ভাইয়ের সাথে দেখা, তিনি বললেন আবারও সাইকেল কিনেছো। আমি বললাম হ্যাঁ, এটা হারালো আবারও সাইকেলই কিনবো, তিনি মোটর সাইকেল চালান। আর একবার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমায় বলেছিলেন যে আপনি আমার বাসায় সাইকেল চালিয়ে আসবেন না,দরকার হলে রিক্সায় না পারেন হেটে আসবেন আমার বাসায়। দুঃখের কথা আমি এখন বাইসাইকেল ছাড়া, প্রায়...
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
আয়নাল হোসেন। আমার আয়নাল ভাই। তাঁর কর্মস্থল এলেঙ্গা বাস স্টপ। তিনি এখানে ২০ বছরের অধিক কাজ করেন। এর আগে কোন এক ফেরিঘাটেও ৫/৬ বছর কাজ করেছিলেন। ওনার বাড়ি আদাবাড়ি। জন্ম প্রতিবন্ধী। কিন্তু মানসিকভাবে খুব শক্তিশালী, শারীরিকভাবেও। ওনার পেশার অন্যরা ওনাকে সমীহ করেন। ওনি যে বাস ওঠেন সেখানে অন্যরা উঠে না। দিন রোজগার ৩০০ টাকার ওপর। ওনি কেবল লোকাল বাসেই ওঠেন ভিক্ষা করতে। লোকাল বাসের সাধারণ যাত্রীই খুশী মনে ভিক্ষা দেয়। বিশেষ করে চরের সাধারণ মানুষ। দূর পাল্লার বাসে ভদ্রলোক যাত্রী বেশী, তারা ভিক্ষুক দেখলে বিরক্ত হন। ওনি আমাকে দাওয়াত দিয়ে রেখেছেন তাঁর বাড়িতে। কবে যাবো জানি না। নয়াউদারনীতিবাদী অর্থনীতি জারি আছে যে সমস্ত দেশে তা সেগুলো যত ধনীই হোক না কেন, সেখানেও ভিক্ষাবৃত্তি আছে, কিন্তু ভিন্ন রূপে। ব্রিটেনে হালে অধ্যয়নকালে সিটি সেন্টারে ভিক্ষুক দেখেছি। আসলে শ্রেণীবিভক্ত সমাজ যেখানে মানুষের ওপর আধিপত্য ও দাসত্ব তা যেরূপেই জারি থাকুক না কেন, সেই সমাজ হল বিমানবিক। পুঁজিতন্ত্রও বিমানবিক। মানব সমাজকে তাই দীর্ঘযাত্রা জারি রাখতে হবে সমতাবাদী সমাজের দিকে। আর তাঁর প্রাণখোলা হাসি...
উচু-নিচু কাজ ও পরিচয়ের সমস্যা স ম আজাদ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
উচু-নিচু কাজ ও পরিচয়ের সমস্যা স ম আজাদ পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাজ অত্যাবশ্যকীয় । কিন্তু আমরা কি তাঁদের যথাযোগ্য মর্যদা দেই? তাঁদের যথেষ্ট পারিশ্রমিক কি দেই? তাঁদের কর্ম পরিবেশ উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় অটোমেশন কি জারি আছে? এ রকম অনেক প্রশ্ন উনাদের কেন্দ্র করে। পরিচয়ের সমস্যাও আছে। সমাজের মেইন স্ট্রিমে কি আমরা তাঁদের ঠাই দেই। সেদিন বাসে আমার পাশে বসা যাত্রীর সাথে আলাপ চলা কালে পেশার প্রসঙ্গ আসলো। আমি বললাম আমি ব্ল্যাকবোর্ডে চক ঘষি। ওনি বললেন আামি ছোট কাম করি বলার মত না, ময়লা পরিস্কার করি। আমি বললাম আপনিতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। আপনার পেশার কর্মীরা ধর্মঘট করলে শহর-বন্দর বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। ভদ্রলোকেরা অচল হয়ে যাবে। তিনি বললেন রোজগার ভালই করেন দু’টি জায়গা থেকে। কিন্তু ছেলে বলে বাবা তুমি এ কাজ বাদ দাও, আমি সংসার চালাবো, তোমার আর কাজ করতে হবে না। তোমার জন্য পরিচয় দিতে পারি না। উনি বললেন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জায়গায় আমার কার্ড দেয়া আছে। এজন্য ছেলে দূরে গাজীপুরে কাজ করে। আমরা এমন একটা সমাজে বাস করি যেখানে পেশার বৈচিত্রকে পেশার বৈষম্যে রূপান্তরিত করেছি। আামর নিজ...
মেহনতির কথা ভেবেছি স ম আজাদ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মেহনতির কথা ভেবেছি স ম আজাদ মেহনতির কথা ভেবেছি কিন্তু তাঁর কাছে যাইনি ক্ষেত মজুরের কথা ভেবেছি কিন্তু তাঁর কাছে যাইনি পরিবহন শ্রমিকের কথা ভেবেছি কিন্তু তাঁর কাছে যাইনি গৃহ শ্রমিকের কথা ভেবেছি কিন্তু তাঁর কথা শুনিনি ব্রীজের প্রান্ত ঘেষে যাযাবরদের পলিথিনে ছাওয়া ঘর দেখি দূরে বাস থেকে ওদের কথা ভেবে মনটা শূন্যতায় ভরে যায় ঘরে-বাইরে নিকটজনের মনের পাঠে অক্ষম এ আমার ব্যর্থতা
অসংলগ্ন পংক্তিমালা ২ স ম আজাদ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
অসংলগ্ন পংক্তিমালা ২ স ম আজাদ মহাঘোরের কাল গ্রাম রক্ষা বাঁধ হয়ে যায় বিনোদনের হাট জিওব্যাগের ওপর বসে সন্ধ্যার লাল সূরুজ দর্শন যেন শেষ হয় না বিলাসি দর্শনার্থীদের পদভারে পিষ্ট জিওব্যাগগুলোর অসহায় নিরব আর্তনাদ ওরা চিন্তিত ওদের আয়ু কমে যাচ্ছে হোমোসাপিয়েন্সের কান্ডজ্ঞান ক্রমাগত নিম্নগামী হায় সবই নয়া্উদারতাবাদের খেল।
ক্রিস্টাল ফিল্ড তত্ত্ব স ম আজাদ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
ক্রিস্টাল ফিল্ড তত্ত্ব আমরা যখন অবস্থান্তর ধাতু এবং এর সন্নিবেশ যৌগের কথা বলি তখন আমাদের d অরবিটালের কথাও বলতে হয়। এজন্য d অরবিটাল সম্পর্কে আমাদের ধারণা কিছুটা ঝালাই করে নিতে হয়। আমাদের d অরবিটালগুলোর নাম জানতে হবে। আমাদের d অরবিটালগুলো আঁকতে শিখতে হবে। দেখা যাক d অরবিটালগুলো দেখতে কেমন।এখানে আমরা একই রেফারেন্স ফ্রেম ব্যবহার করবো। z-অক্ষ হবে উপর-নীচ বরাবর, y-অক্ষ হবে আনুভূমিক, x-অক্ষ এই তল থেকে বের হবে এবং তলের ভিতর দিকে যাবে।আমরা সবসময় এই একই বয়ান ব্যবহার করবো। আমাদের বিবেচনাকৃত প্রথম d অরবিটাল হ’ল d z 2, এর সর্বাধিক ইলেকট্রন ঘনত্ব z-অক্ষ বরাবর অর্থাৎ এই অক্ষ বরাবর দু’টি লোব বিদ্যমান এবং xy তলে ছোট্ট ডোনাট বিদ্যমান। d x 2 -y 2 অরবিটালের সর্বাধিক বিস্তার x-অক্ষ ও y-অক্ষ বরাবর, অর্থাৎ এই নির্দিষ্ট অরবিটালের জন্য সরাসরি অক্ষের ওপর (on-axis) পরবর্তী তিনটি d অরবিটালে সর্বাধিক বিস্তার অক্ষের বাইরে (off-axis), সুতরাং তারা অক্ষের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। তারা, প্রকৃতপক্ষে, অক্ষ থেকে 45 ° বাইরে (45 ° off-axis)। এই অরবিটালগুলো হ’ল d...