পোস্টগুলি

2022 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
  নয়াউদারনীতিবাদ ক্রমাগত শক্তিশালী। সমাজতান্ত্রিক সমাজ দৃশ্যত দূরবর্তী। গরীব-মেহনতীর জীবনমান ক্রমাগত অধোমুখী। সম্পত্তি নিয়ে কোন্দল যাপিত জীবনের দর্শনে বিচ্ছিন্নতা পরিবারে পোস্টমডার্ন আত্মীয় স্বজন আইনগত ও রক্ত সম্পর্কের উভয়ই দূর গ্যালক্সির বলে ঠাহর হয় মনেই পড়ে না তারা কোনো কালে আ্ত্মার আত্মীয় ছিল। ভয়াবহ নিঃসঙ্গতার কাল।
প্রবচন উপরি কামাইয়ে স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের পোয়াবারো গৃহকর্তার পারলৌকিক বিষয়ে তারা চিন্তিত নয়

ইলেকট্রন ও নিউট্রন আবিষ্কার এবং পরমাণুর ধ্রুপদি বয়ানের ব্যর্থতা

  বিশ শতকের দিকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানী মহলে এরকম একটা ধারণা তৈরী হয় যে আমাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। পরমানু হলো বস্তুর মৌল উপাদান- এই ধারণাটা সার্বিকভাবে  ‍ গৃহিত হয়। আর সকল বস্তুর আচরণ নিউটনীয় মেকানিকসের সাহায্যে ব্যাখ্যা সম্ভব। কিন্তু কিছু আবিষ্কার ও পর্যবেক্ষণ এই তত্ত্বগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে। ইলেকট্রন আবিষ্কার জে জে থমসন (ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী,  1856-1940 ) ১৮৯৭ সনে ইলেকট্রন আবিষ্কার করেন  এবং এই মৌলিক কণিকাটির চার্জ ও ভরের অনুপাত নির্ণয় করেন। ১৯০৬-এ নোবেল পুরস্কার পান।
 প্রবচন ৫ শ্রেণীবিভক্ত সমাজে বেকার বোন জামাইয়ের পরিচয় গোপন করি
 প্রবচন ১: মায়ের চেয়ে মামুর বেশী পরাণ পড়লে সেই মামু দৈত্য।
ছবি
  আনারস সমাচার। পরশু দিন এক ফলের দোকান থেকে আনারস কেনার সময় ফল-বিক্রেতাকে বলেছিলাম সবচেয়ে ভালটি দেবেন। উনি দিলেন। আমি বললাম যদি ভালো না হয় ফেরত নেবেন, উনি বললেন আচছা। বাসায় এসে কাটার পর দেখা গেল সেটি একদম খাওয়ার অযোগ্য। গতকাল আবার ওনার দোকানে পচা আনারসের খন্ডাংশ নিয়ে দেখালাম। উনি আবার একটা আনারস দিয়ে বললেন এটাতে সমস্যা হবে না। একটু আগে কেটে দেখা গেল সেই একই অবস্থা। আজ আর দুঃখে তার কাছে যেতে ইচ্ছে করছে না। আসলে ওনাকে দোষ দেই না। সমাজে এখন আধিপত্যিক চিন্তধারা হলো যেনতেন প্রকারেন মুনাফা তৈরী করা। এই আধিপত্যশীল চিন্তা তার ওপর ভর করেছে। উনি নিরীহ ছোট্ট ফল বিক্রেতা। নব্বই দশকের শেষদিকের কথা মনে পড়ছে। আমার স্ত্রী একটা জমি কেনার জন্য একজনের সাথে সবকিছু ঠিকঠাক করেছেন। উনারা খুব উচ্চ বর্গের লোক। সরল বিশ্বাসে জমি কেনা হলো। পরে ক বছর পরে দেখা গেল জমির পরিমাণ কম। তো আমাদের সাথের একজন দেরী করে খারিজ করতে গিয়ে দেখেন তার অংশ নেই, সেটি পূর্বেই খারিজ হয়ে গেছে। অর্থাৎ উনি সেই অংশ আগে বিক্রি করে দিয়েছেন। অর্থাৎ সমাজে এরকম প্রতারণা চলছে।

সাম্রাজ্যবাদের শেষ দিনগুলি মূল: ডেভিড হারভে অনুবাদ: স ম আজাদ

সাম্রাজ্যবাদের শেষ দিনগুলো মূল: ডেভিড হারভে অনুবাদ: স ম আজাদ [ডেভিড হারভে একজন মার্কিন রাজনীতিক ও সমাজবিজ্ঞানী। ‘ The New Imperialism'  তাঁর সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কিত নতুন গ্রন্থ। এই নিবন্ধটি লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক Socialist Worker পত্রিকার ৩০শে জুলা্ই, ২০০৫ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। ্ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের  প্রেক্ষাপটে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের  স্বরূপ অনুধাবন আমাদের জন্য জরুরী। এই নিবন্ধটি তাতে কিছুটা সহায়তা করবে] আমার পদ্ধতি হচ্ছে শক্তির দুটো উৎসের মধ্যে উত্তেজনার ফলাফল হিসেবে সাম্রাজ্যবাদকে দেখা। একটি হচ্ছে ভূখন্ডগত উৎস, যা নিহিত থাকে রাষ্ট্রীয় সংগঠনে। আর একটি শক্তির পুঁজিতান্ত্রিক যুক্তি (capitalist logic of power) যা হচ্ছে অর্থ, সম্পদ এবং পুঁজির প্রবাহ ও সঞ্চালন। আমি জোরালোভাবে বলি যে, আপনারা একটিকে আর একটিতে রূপান্তরিত করতে পারেন না। দুটি সম্পূর্ণভাবে একে অপরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ- এই বিশ্বাসটি করে কখনো কখনো ভুলসমূহের মধ্যে ভুল করা হয়। বাস্তবে তারা একে অপরকে সহযোগিতা করে এবং কখনো একে অপরের বিরুদ্ধে যায়- এবং সর্বদা তারা উত্তেজনার মধ্যে থাকে; যা সাম্রাজ্যবাদ ত...

ব্রিটিশ নিউ্ক্লিয়ার অস্ত্রভান্ডার নবায়ন এবং বিশ্ব শান্তি স ম আজাদ

ব্রিটিশ নিউক্লিয়ার অস্ত্রভান্ডার নবায়ন ও বিশ্বশান্তি স ম আজাদ   ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী ম্যাগী থাচার ব্রিটেনে ১৯৮০ অস্ত্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন। এই ব্যবস্থার আধুনিকায়নের   লক্ষ্যে বর্তমান অধঃপতিত যুদ্ধবাজ নিউ লেবার সরকার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন মিসাইল ব্যবস্থা গড়ে তোলা , পুরাতন নিউক্লিয়ার সাবমেরিন বদলে ফেলা এবং আগামী ৩০ বছর পর্যন্ত এই ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আনুমানিক ৭৬ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হিসেবে করেছে। এ উদ্যোগ এমন সময়ে নেয়া হয়েছে যখন তারা ইরান ও উত্তর কোরিয়ার নিউক্লিয়ার অস্ত্র গবেষণা   ও উদ্ভাবনের বিরোধীতা করছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সাথে সুর মিলিয়ে। মার্কিন দখলদার বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে ইরাক ও আফগানিস্তানকে ধ্বংস করেছে ‘ war on terror’- এর অভিযানের অংশ হিসেবে। ব্রিটিশ যুদ্ধবিরোধী র‌্যাডিক্যাল একটিভিস্টরা হিসেব করে দেখিয়েছেন যে এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে বৃহদায়তনে যে মানবিক কর্মকান্ডসমূহ পরিচালনা করা যেত তা হচ্ছে: (১) আমাদের গ্রহের ৭ মিলিয়ন একর রেইন ফরেস্ট সংরক্ষণ; (২) তৃতীয় বিশ্বের...

প্রাসঙ্গিকতা: এঙ্গেলসের ইউটোপিয় ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র মূল: জ্যাক ফারমার অনুবাদ: স ম আজাদ

ছবি
  প্রাসঙ্গিকতা: এঙ্গেলসের ইউটোপিয় ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র মূল: জ্যাক ফারমার    অনুবাদ: স ম আজাদ পুঁজিতন্ত্রের বিরুদ্ধে যারা বিদ্রোহ করেন তাঁদের প্রত্যেকে অনুপ্রাণিত হন একটি অধিকতর ভাল, অধিকতর ন্যায়ানুগ সমাজের রূপকল্প দিয়ে। মার্টিন লুথার কিঙ্গের “স্বপ্ন”-এর পথে অকুপাই আন্দোলনের সমাবেশসমূহ পরিকল্পনা করে সংগঠিত করতে অধিকতর গণতান্ত্রিক রূপসমূহ প্রদর্শনের, বিপ্লবী মিশরে কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াই  কর্মক্ষেত্র পরিচালনে, ছাত্রদের ঘেরাওয়ের কার্যক্রমে যেখানে জনগণ কেবলমাত্র হতাশ নন- তাঁরা দুনিয়াকে ভিন্নভাবে সংগঠিত করার পদ্ধতি নিয়ে চিন্তা করেন। পুঁজিতন্ত্রের বর্বরতা প্রত্যাখ্যানকারী জনগণের একটি দীর্ঘ  এবং গৌরবময়  ইতিহাসের অংশ হল এই ধরনের ধারণাসমূহ। ফেড্রেরিখ এঙ্গেলসের পুস্তিকা সমাজতন্ত্র: ইউটোপিয় এবং বৈজ্ঞানিক , এটিতে তিনি সারসংক্ষেপিত করেন এবং সমালোচনা করেন সবচেয়ে পরিশীলিত চিন্তাবিদদের কয়েকজনকে, যারা শিল্প বিপ্লবের নিষ্ঠুরতাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং সমাজকে সংগঠিত করতে ভিন্ন পন্থার  পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করেন। কোঁতে দি সেন্ট-সাইমন, চার্লস ফুরিয়ের  এবং রবার্ট ওয়েন...

sp সংকরণ

ছবি

দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়েরে মৌলসমূহের অক্সাইডের অম্ল-ক্ষারক ধর্ম স ম আজাদ

 

ফরিদপুর আমার ফরিদপুর স ম আজাদ

  ফরিদপুর আমার ফরিদপুর এখনও চোখে ভাসে কুমার নদ নদের লঞ্চঘাট। শৈশবের প্রথম সাঁতার শেখার রোমান্স সাঁতরে ওপার গিয়ে রিঠার গোটা সংগ্রহ রিঠার গোটা দিয়ে মাথা পরিষ্কারের ব্যর্থ প্রয়াস নদী থেকে ফিরলে মায়ের মৃদু বকুনি আমার ফরিদপুর মুক্তিযুদ্ধের রাতে ঘুম ভেঙ্গে যেতো দূরে কোথাও হানাদার বাহিনীর ওপর মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যামবুস শুনতে পাই ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে মুক্তিযোদ্ধারা দরিদ্র কৃষকের চোখ চকচক করে এই বুঝি সমতাবাদের যুগ এলো অবশেষে একদিন এলো মহা-মাহেদ্র ক্ষণ মুক্তিযোদ্ধারা প্রবেশ করলো বিজয়ীর বেশে সারা শহর আনন্দে মেতে উঠলো মুহুর্মুহু মুক্তির শ্লোগান, বন্দুকের ব্লাংক ফায়ারে আনন্দ উল্লাস এক কিশোর সেই আনন্দ উৎসবের ভীড়ে একাত্ম হয়।

বিটিভিতে নৃত্যের তালে তালে অনুষ্ঠানে সাম্যের দলীয় নৃত্য।

ছবি

নজরুল সঙ্গীত: মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দ্যম

ছবি
ছবি
  মা দিবসে আম্মাকে শ্রদ্ধা। আম্মার কথা তাঁর অপর চার বোনকে বাদ দিয়ে অসম্পূর্ণ। আমার ৫ মা-খালারা সবাই মেধাবী। এর মধ্যে বড় খালা গত হয়েছেন। বেঁচে আছেন আম্মাসহ ৪ জন। এ যুগে জন্মালে উনারা প্রত্যেকেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পারতেন। কিন্তু হায় সে যুগে নারী শিক্ষা উচ্চস্তরে অপ্রতুল ছিল। শুধু মাত্র ছোট খালা এইচএসসি পাশ করতে পেরেছেন। অন্যরা সকলে প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত পড়েছেন। আমাদের নানার পরিববার ছিল সংস্কৃতি সম্পন্ন। নানা সঙ্গীতের যন্ত্রী ছিলেন।উনি তবলায় ও এসরাজে দক্ষ ছিলেন। সেই হিসেবে সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ প্রায় পুরো পরিবারের ছিল। আমার দাদার পরিবার ছিল কৃষক পরিবার। আম্মা অকৃষক পরিবার থেকে এসেও দিব্বি খাপ খাইয়ে নিয়েছিলেন, সবাইকে আপন করে নিয়েছিলেন। ধর্ম চর্চা ও আমারা যাকে আউট বই বলি সবই পড়েন। আমার ছোট কন্যার সংস্কৃতি চর্চার ব্যাপারেে দু’একজন বলার চেষ্টা করেন, আম্মা তাদের নাকচ করে দেন যুক্তি দিয়ে। নয়াউদারনীতিবাদে স্বাস্থ্যসহ অনেক কিছুই বাজারের দখলে। আম্মা করোনা আক্রান্ত হলে একটা প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে কয়েকদিন চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। ওখানে ওরা বিল করেছিল এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এই যে বি...
ছবি
  মার্কসের জন্মদিনে আমার শুধু বাংলাদেশের বামপন্থীদের দেওলিয়াত্বের কথাই মনে পড়ে।সারা দুনিয়ার মেহনতি জনগণ এক হও- মার্কস-এঙ্গেলসের এই মহা বয়ানকে তাঁরা খেলো করে ফেলেছেন। ইস্পাত দৃঢ় ঐক্যের পরিবর্তে শুধু বিভক্তি দেখি। কবি শফিক ইমতিয়াজ আশির দশকে জাসদের ভাঙ্গনকে কেন্দ্র করে একটা ছড়া লিখেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন এ বলে ও ভ্রান্ত পেটিবুর্জোয়া কীট দ্বারা কমবেশী আক্রান্ত। এভাবে এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে গালাগালি দেন। আর প্রতিটি ভাঙ্গনে কর্মীরা হতাশ হন, অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তারপর থেকে অনেক বছর গেছে অবস্থার উন্নতি হয় নি। ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছেন বামপন্থীরা। এটা সত্য পুঁজিবাদে মানুষের কষ্ট বাড়বে, বৈষম্য বাড়বে, সম্পদ অল্প মানুষের হাতে কেন্দ্রীভূত হবে। হচ্ছেও তাই। বার্লিন দেয়ালের পতনের পর ফ্রান্সিস ফুকায়মা দম্ভভরে বলেছিলেন ইতিহাসের অবসান, অর্থাৎ পুঁজিতন্ত্র্ই শেষ কথা। কিন্তু বার্লিন দেয়ালের পতনের পরে এই সেদিন তিনি সখেদে বলেছেন নয়াউদারনীতিবাদ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। এভাবে চললে সমাজতন্ত্র আবার ফিরে আসবে। কিন্তু কথা হলো সমাজতন্ত্রতো আর এমনি এমনি আসবে না। বামপন...
ছবি
11-04-2022  ইফতারের পর নিরালার মোড়ে সিডিসি মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারেজে যাই। এই গ্যারেজের নিরাপত্তা প্রহরী আমার ফুফাতো শ্যালক মোজাম্মেল। উনি গ্যারেজের ফ্লোরে কার্টন বিছিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আমিও সুযোগটা নিলাম। কতক্ষণ তার সাথে শুয়ে গল্পগুজব করে বাসায় ফিরলাম। বলে রাখি সময়ের পরিক্রমায় পুঁজিতান্ত্রিক সমাজের অসম বিকাশের কারণে পরিবার ও আত্মীয়-পরিজনের মধ্যেও অসম বিকাশের কারণে মেলামেশাতেও একটা বিভাজন রেখা চলে আসে। উচ্চবর্গীয়রা অর্থাৎ ডিনার-ডলার-পয়সাতন্ত্রের দাস যারা তারা চলে একদলে ও আয়ে নিম্নবর্গীয়রা চলে আর এক দলে। আমি দার্শনিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবেও গরীব মেহনতীদের অর্থাৎ মজলুমদের কাতারে। আমার তাই চলাফেরা মোজাম্মেলের মত আত্মীয-স্বজন বন্ধুবান্ধবদের সাথে। আমার একমা্ত্র ও বড়পুত্র আমাকে জাতে তোলার জন্য অনেক কিছু কিনে দেয়, স্ত্রীসহ সবার তাগিদ পরিপাটিভাবে চলার জন্য, কিন্তু স্বভাব কী আর সহজে পাল্টায়। ছেলে অনেকদিন আগে বলেছিল আমার মান-ইজ্জত তুমি রাখলে না। গিন্নি বলে বাইসাইকেল চালিয়ে আর কত ছোট করবে আমাদের। বিভিন্ন কলেজের দু-একজন অধ্যাপকও বলেছেন আপনি সাইকেল চালাবেন না। আমার পুত্রের আইডল তাঁ...

রসায়ন দর্শন ও অ্যারিস্তোতল স ম আজাদ

ছবি
 
ছবি
  দেওয়ান ইউসুফ ভাই। বাড়ী সুরুজ, পুংলী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। আমার গ্রাম নওগাঁও, নদীর পূর্ব পাড়ে। আজ শুক্রবার, পবিত্র জুমা বার। এই দিনটি দেওয়ান ভাইদের বিশেষ দিন। তাই স্ত্রীর হাত ধরে টাঙ্গাইল এসেছেন অন্যান্য দিনের থেকে একটু রোজগারের আশায়। আমার সাথে দেখা টাঙ্গাইল ক্যাডেট স্কুলের পাশে। দশ টাকা দিলাম ওনাকে। এর মধ্যে আর একজন আসলেন, তাঁকে বিনীতভাবে ফেরত দিলাম। হুমায়ুন আহমেদের কোনো এক লেখায় পড়েছিলাম মাসের প্রথম সপ্তাহের থেকে শেষ সপ্তাহে মানুষ ভিক্ষা দেয় বেশী। অথচ মাসের প্রথম সপ্তাহে মানুষরে হাতে পয়সা থাকে, শেষ সপ্তাহের পয়সা থাকে না বললেই চলে। পয়সা হাতে থাকলে মানুষ কেনাকাটা-ভোগের সময় এদের বিরক্তির উপাদান হিসেবে মনে করে, শেষ সপ্তাহে পকেট অনেকটা ফাঁকা থাকলে তখন দরিদ্রদের প্রতি হয়তো মায়া লাগে। যাহেকা দুনিয়াকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে ধনীমুক্ত করতে হবে। চুম্বকের অস্তিত্বের জন্য যেমন দুটি মেরূ অপরিহার্য, তানা হলে চুম্বকের অস্তিত্ব থাকবে না। তেমনি পুঁজিতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য ধনী-দরিদ্রের সহাবস্থান। কাজেই ফুকায়ামার ইতিহাসের অবসান নয় দরকার পুঁজিতন্ত্রের অবসান। ফুকায়ামা ৯০-এর দশকে বার্লিন দেয়...

চাষা হতে মন চায় স ম আজাদ

ছবি
চাষা হতে মন চায় স ম আজাদ উৎসর্গ; আমার দাদাজান পৃথিবীতে এসেছেন। পুঁজিতন্ত্রের ভয়ংকর এক সময়ে যখন পৃথিবীর অধিকাংশ শিশুর বিকাশ অরক্ষিত, অনিরাপদ যুদ্ধ, খরা, দারিদ্র্য দিয়ে। আর পৃথিবীতে একা ভালো থাকা যায় না। দাদাজান সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর চার পাশ ভয়ংকররূপে ভোগবাদ, পণ্যপুঁজা, স্বার্থপরতা, বিভেদের সংস্কৃতি দিয়ে পরিবেষ্টিত। আমার প্রত্যাশা তার বেড়ে উঠার কালে ভোগবাদ, পণ্যপুঁজার প্রভাব কমে আসবে মানবিক সমাজ সমতাবাদের দিকে অগ্রসর হবে। 20- 05-2022 সবকিছু দেখেশুনে আমার চাচাজানের মত চাষা হতে মন চায়। যিনি সরল বিশ্বাসে কোন পথিক এলে আশ্রয় দিতেন, খাবার দিতেন। বয়োবৃদ্ধ বাজান-মাকে সেবা করতেন চাচাজান-চাচী মিলে কোনো ঘাটতি ছিল না আন্তরিকতার এখানে শিক্ষিতজন গ্রেডধারী, কুটিল, বিভেদকামী, দুর্নীতিগ্রস্ত ইহলৌকিক পণ্যকেন্দ্রীক জীবনযাপনে ধেয়ে চলে গয়না-বিক্রয় করে যে মা পড়ার টাকা জোগায় সারা সপ্তাহ জুড়ে ছেলের পছন্দের মাছ-খাঁটি দুধ অন্যান্য সদাইপাতি মা পাটের বস্তায় ভরেন ছেলের বাসায় নিয়ে যাবেন বলে অসুস্থ মা ঢাকার বাস-স্টপে নামেন বস্তা নিয়ে। ফোন করে বায়না ধরেন যেন ছেলে গাড়ি দিয়ে মাকে নিয়ে যায় অপেক্ষায় থেক...

চার্লস ডারউইন ও বিবর্তনবাদ স ম আজাদ

ছবি
  চার্লস ডারউইন ও বিবর্তনবাদ স ম আজাদ   আমাদের গ্রহ জীব-বৈচিত্রে ভরপুর। প্রায় ১.৫ মিলিয়ন প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে। মিলিয়নের অধিকের অস্তিত্ব আছে বলে ধারণা করা হয়। এই প্রজাতিসমূহ কোত্থেকে এসেছিল? এগুলো কি আলাদাভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল, নাকি প্রজাতিগুলো পরিবর্তিত হয়ে নতুন প্রজাতির উদ্ভব সম্ভব করেছিল, ১৮৫৯ সালে চার্লস ডারউইনের জগৎ বিখ্যাত গ্রন্থ On the Origin of Species by Means of Natural Selection প্রকাশের পূর্বে জানা ছিল না। তাঁর এই গ্রন্থটি লেখা সম্ভব হয়েছিল তাঁর বিগল জাহাজে পাঁচ বছরব্যাপী প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা থেকে। বিগল জাহাজে সমুদ্র ভ্রমণ সম্পদশালী চিকিৎসকের পুত্র ছিলেন চার্লস ডা্রউইন। ‍তিনি মনোযোগী শিক্ষার্থী ছিলেন না, স্কুলের থেকে বাইরে বেশী সময় কাটাতেন। এডিনবার্গের মেডিক্যাল ছাত্র হিসাবে তাঁর সময়টা সুখকর ছিল না। সেই যুগে এ্যানাসথেটিক ছাড়া অপারেশন দেখে তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছিলেন। তিনি ক্লাস লেকচার বাদ দিয়ে বায়োলজিক্যাল স্পেসিমেন (biological specimen) সংগ্রহে দুই বছর কাটিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর পিতা তাঁকে ক্যামব্রিজে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন যেন তাঁর সন্তান পাঠ শেষে মন...

হে মানুষ স ম আজাদ

হে মানুষ স ম আজাদ   হে মানুষ অপর মানুষরে পশুর নামে গালি দিয়েন না। ওরা আপনাগো হোমোসাপিয়েন্স প্রজাতি লইয়া চিন্তাগ্রস্ত। কীভাবে ওরা একে অপরকে হত্যা লীলায় মেতে উঠে দুনিয়ায় আধিপত্য কায়েমের জন্য। আকাশ থেকে দুনিয়া দেখা যায় অভিন্ন সত্তায় কিন্তু সভ্য মানুষ বানাইছে বর্ডার-পাসপোর্ট-ভিসা কি ঝক্কি-ঝামেলারে বাবা ওরা আবার বড়াই করে সভ্যতার আমরা বিনা পাসপোর্টে সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াই্ খাদ্য-শৃঙ্খলের জন্য হয়তো আমরা এক প্রজাতি অপর কোনো প্রজাতিকে আহার করি নিজ প্রজাতির মধ্যে কখনো-সখনো বিভেদ-বিবাদে লিপ্ত হই সামান্য সময়ের জন্য কিন্তু কখনেো নিজ প্রজাতির কাউকে হত্যা করি না। তোমরা কি আমাদের দেখে শিখবে না আর কতকাল আমাদের নামে গালগাল অব্যাহত রাখবে। হায়রে মানুষ ! এ সব দেখে আমার নিজেকে অসভ্য মানুষ ভাবতেই ভালো লাগে ভালো লাগে পশুর বিভিন্ন প্রজাতির মত স্বাধীন হতে।